Amazon Online Store

Blog Archive

Total Pageviews

Sri Sri Thakur Anukul Chandra

শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র


--------------------------" অার্য্যকৃষ্টি "------------------------
অার্য্য তাকেই বলে -----
কৃষ্টি - পথে দৃষ্টি নিয়ে
ইষ্ট তপে চলে,
রক্তে গাঁথা অার্য্য অাভা
তপঃ - কুতূহলে। ১৩।
অাপন ভাল বোঝে না যারা
অারাম পেলেই খুশি হয়,
এমনি লোকের মত নিয়ে কি
নিয়ম - নীতি কৃষ্টি রয় ? ৩২।
খন্ড - টুকরো যা'ই না হোক
ধৃতি ধারা রাখিস্ ঠিক,
ব্যক্তি - পরিবার সবাই যেন
ধরে চলে এই নিরীখ। ৭৩।
জীবন তোদের দাঁড়িয়ে অাছে
কৃষি - শিল্প - সন্দীপনায়,
সুবিবাহ, সুপ্রজনন -------
দেশটা জাগে যে উজ্জলায়। ২২।
ব্যক্তি স্বাধীনতা মানেই বুঝিস -----
ঐতিহ্য অার কুলের প্রথায়
যে ব্যক্তিত্ব জেগে ওঠে
স্বাধীনভাবে অটুট থাকায় ;
ব্যতিক্রমদুষ্ট যখনই যে হয়
ঐ স্ব - কে ভাসিয়ে দিয়ে,
বিকৃতিতে তা'রাই চলে
স্বাধীনতার নামটি নিয়ে। ৪৯।
কোন বেকুব শিখিয়ে দেছে
অার্য্য যা'রা পৌত্তলিক,
পুতুল - পুজো করে না তা'রা
পুজক অাপ্তবীর - প্রতীক ;
ভরদুনিয়া দেখ খুঁজে তুই
স্মারক - পুজক কেই বা নয়,
যার যেমনটি লাগে ভাল
তেমনি পুজোয় সবাই রয়। ১১।
কুটিল ধুয়োয় চললি ওরে
মিথ্যা স্মৃতির দোহাই নিয়ে,
পূর্ব্ববাহী বর্ত্তমানে
ধরলি না রে হৃদয় দিয়ে ;
হ'লি নিপাত মারলি রে জাত
অার্য্যকৃষ্টির গর্ভ্রস্রাব
বিষাণ - রাবে পিনাক হাঁকে
কী বলে শোন রুধির চাপ। ৩৩।
পঞ্চবর্হির স্মরণ নিয়ে
সপ্তার্চ্চিকে কর বরণ,
অঘমর্ষী যজ্ঞেতে কর
পাপগুলি সব প্রক্ষালন। ৩।
ঋৃষিযজ্ঞ, দেবযজ্ঞ, পিতৃযজ্ঞ,
ভুতযজ্ঞ অার লোকপুজো ---
যা'র শিষ্ট সুবিধানে
রয়ই দেশটা উর্জ্জী - তেজা। ২৫।
বোধ বিজ্ঞানের সজাগ চোখে
সুদূর পাল্লায় দৃষ্টি - রেখে,
ভবিতব্যটা ছ'কে নিয়ে
শুভ'র পথে চল'না দেখে। ২৮।
সংস্কারে জন্মে সবাই
ঐতিহ্যও ঐ সংষ্কার,
প্রাচীন হতে অাসছে চলে
জীবন - গতির ব'য়ে ভার ;
সংষ্কার যার যেমন শুভ
বিনায়িত যেমন তালে,
শিক্ষা - দীক্ষাও তদনুগ
প্রতিষ্ঠাও হয় তেমনি ভালে ;
উড়িয়ে দিয়ে ঐ সংষ্কার
বৃদ্ধিপর - বিন্যাসহীন
করলে জানিস্ গোল্লায় যাবি,
হবেই জাতটা নিত্য দীন। ৩৪।
নিষ্ঠাবিহীন অাচার - ব্যাভার
কুলকে করে হীনতম,
বিপর্য্যয়ী যৌন - চলা
কুলের ধারা করে খতম । ৭৮।
পিতৃকৃষ্টি - পূরন - প্রবন
থাকলে অটুট সেই ধারাটি,
শাক্ত হস্ অার বৈষ্ণবই হস্
খৃষ্টান মুসলিম সবই খাঁটি ;
ঐ চলা তোর বাতিল করে
স্বর্গেও যদি যাস্ রে তুই,
জোর গলাতে বলছি অামি
স্বর্গও তোর নরকভূঁই। ৩৪।
শ্রীশ্রীঠাকুর (অনুশ্রুতি, ১ম, ২য়, ৫ম, ৬ষ্ঠ,৭ম খন্ড)।
বি.দ্র. - পূর্ব্ববাহী বর্ত্তমান হলেন যুগো পুরুষোত্তম পরমপ্রেমময় ভগবান ঈশ্বর পুরুষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র। পঞ্চবর্হি ও সপ্তার্চ্চি হল হিন্দুদের স্বীকার্য্য ও পালনীয় নয় তো সে হিন্দুই নয়। অামরা সৎসঙ্গীরা পঞ্চমহাযজ্ঞ নিত্য করি ইষ্টভৃতি দিয়ে। একহিসাবে পৃথিবীর সকল মানুষ ই অার্য্য কিছু মানুষ বাদে।


সৎসঙ্গের বর্তমান আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা – শ্রী দেবীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়

সৎসঙ্গের প্রাণপুরুষ, যুগ-পুরুষোত্তম পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পৌত্র---- শ্রীঅশোকরঞ্জন চক্রবর্ত্তী---- সমগ্র সৎসঙ্গ জগতে আজ 'বড়দাদা' বা 'দাদা' ব'লে অভিহিত। তাঁর পিতৃদেবের তিরোধানের পর থেকেই তিনি দৃঢ়হস্তে ধারণ করেছেন 'সৎসঙ্গ-আন্দোলন' নামক রথের রশি। এই আন্দোলনের মূল ভিত্তি যে মানুষ---- শ্রীশ্রীঠাকুরের এই কথা দাদার অন্তরে সুনিবদ্ধ। তাই তাঁর কথা ও ব্যবহার দিয়ে মানুষগুলিকে আপন ক'রে তুলতে তিনি চির-সচেষ্ট। আমি তাঁকে প্রথম দেখি ইংরেজী ১৯৪৮ সালে। তখন থেকেই দেখেছি, এ তাঁর স্বতঃস্বভাব। বিশেষ ক'রে ছোট ছোট শিশুগুলির কাউকে গায়ে-মাথায় হাত দিয়ে, কাউকে কোলে নিয়ে, কা'রো সঙ্গে তার ভাষায় অনর্গল কথা বলে কি ভাবে যে তাদের ভয় ভাঙ্গিয়ে আনন্দোচ্ছল ক'রে তোলেন, তা' চোখে না দেখলে বোঝানো যাবে না। সেই জন্য, শিশুরা তাঁর সঙ্গে মিশতে পারে অতি সহজভাবে, গল্‌গল্ ক'রে কথা ব'লে যায় নিঃসঙ্কোচে। সেই ছোটবেলাকার আদর-খাওয়া ছেলেদের মধ্যে অনেকেই আজ উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হ'য়ে জীবনপথে এগিয়ে চলেছে, আর মেয়েদের মধ্যে অনেকেই আজ সুগৃহিণী। কিন্তু তারা মনে রেখেছে তাদের শৈশবের সেইসব আনন্দময় দিন। শিশু ছাড়াও কিশোর, তরুণ, সমবয়সী ও বয়োঃজ্যেষ্ঠদের সঙ্গেও তাঁর ব্যবহার খুবই আকর্ষণীয়। তার একটি বিশেষ কারণ হ'ল, দাদা খুব সহজে মানুষকে 'ইলেট্' বা চাঙ্গা ক'রে তুলতে পারেন। যতবার দেখেছি, এ ক্ষমতাটা তাঁর অপূর্ব্ব। আর, ভেঙ্গে-পড়া মানুষ যেখানেই একটু আশা পায়, ভরসা পায়, আঁধারে আলোর রেখা দেখে, সেখানেই সে বাঁচার তাগিদে আগ্রহান্বিত হ'য়ে পড়ে। যে-সব ছেলেমেয়ের লেখাপড়ায় খুব একটা মনোযোগ নেই, তাদের তিনি এমনভাবে প্রেরণা জোগান যে তারা সহজভাবে পরীক্ষা-বৈতরণী পার হ'তে হ'তে এগিয়ে চলে। এমনতর উদাহরণ একটি-দুটি নয়, অজস্র। প্রতিভার সংজ্ঞা কী জানি না। কিন্তু দাদার ভিতরে যে বিশেষ গুণরাজির বিকাশ দেখেছি, তা' সাধারণ্যে একান্ত দুর্লভ। এই মস্তিষ্কটি যেন বিশ্বপিতার বিশেষ সৃষ্টি। জাগতিকভাবে দাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্ব্বোচ্চ উপাধিকারী। কিন্তু অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করবে না যে এর জন্য তিনি পড়াশুনা প্রায় করেনই নি। প্রশ্ন উঠতে পারে, তবে কি না পড়ে পাশ করেছেন ? না, তা' নয়। নিয়মিত ক্লাস ক'রে, সকালে-সন্ধ্যায় মনোযোগী ছাত্রের মতো বই নিয়ে বসা---- এসব রকম তাঁর ছিল না। কোন পরীক্ষার একমাস আগে, কোন পরীক্ষার তিন মাস আগে থেকে বইপত্র নাড়াচাড়া করেছেন। অবিশ্বাস্য হ'লেও এ বাস্তব, এটা ঘটনা। কোন পরীক্ষার আগের রাতে কখনও কাউকে বলেছেন পাঠ্য বিষয়গুলি প'ড়ে যেতে। সে প'ড়ে গেছে পাতার পর পাতা আর দাদা বিছানায় চিৎ হ'য়ে চোখ বুঁজে শুয়ে শুনে গেছেন। ঐ শোনায় হ'য়ে গেছে তাঁর পড়া। রাত্রি গভীর হয়ে এসেছে। পাঠক অনেক সময় ভেবেছে, দাদা বোধ হয় ঘুমিয়ে পড়েছেন। কিন্তু না, তিনি পূর্ণ চেতন। দাদা সত্যিই শুনেছেন কিনা পরীক্ষা করার জন্য পাঠক জানতে চেয়েছে সে কী পড়েছে। তাকে স্তম্ভিত ক'রে দিয়ে দাদা বইয়ে পঠিত---- লাইনের পর লাইন, পাতার পর পাতা ব'লে গেছেন। বিস্ময়কর এই স্মরণশক্তি !
----একবার মাত্র শোনার পরে এতখানি নিখুঁতভাবে মনে রাখা। মনে হ'তে পারে, দাদার মহিমা প্রচারের জন্য বর্ত্তমান লেখক খুব গুল মারছে। লেখকের উত্তর---- মানুষের ভাবনার উপর কোন হাত নেই, যার যেমন ইচ্ছা নিশ্চয়ই ভাবতে পারেন, কিন্তু যাহা ঘটিয়াছে তাহা ঘটিয়াছে। জাগতিকভাবে ইউনিভার্সিটির ডিগ্রীধারী হ'লেও তা' দাদার পাণ্ডিত্যের পরিচয় নয়। তাঁর পড়াশুনার পরিমাপ করা যায় না। অসাধারণ পড়াশুনা-করা মানুষ। কত বিষয়ের কত বই যে তিনি পড়েছেন এবং এখনও পড়েন তার ইয়াত্তা নেই। আর, তাঁর পড়াটাও অতি দ্রুত। বই যখন পড়ছেন, দূর থেকে দেখলে মনে হবে কেবল পাতার পর পাতা উল্‌টে যাচ্ছেন। ওরই মধ্যে তাঁর প্রতিটি শব্দ পড়া হ'য়ে যাচ্ছে। প্রচুর পরিমাণে এবং গোগ্রাসে খায় যারা তাদের সম্বন্ধে ইংরাজীতে বলা হয় voracious eater, দাদার পড়া সম্বন্ধে ঐ কথাটা একটু অন্যরকম ক'রে বলা যায় voracious reader। কিন্তু শুধু গল্পের বই পড়ার মতন ক'রে তিনি পড়া শেষ করেন না ; পাঠ্যের প্রতিটি কথা ও বিষয় তাঁর মাথায় দাগ কেটে ব'সে যায়। এ প্রমাণ আমরা বহুবার পেয়েছি। রচনার ব্যাপারেও দাদার হাত অতি সমৃদ্ধ ও সাবলীল। যা' তিনি লিখব ব'লে মনস্থ করেন তা' যেন গিরিগহ্বর-উৎসারিত ঝরণাধারার মতো স্বতঃস্ফূর্ত্তভাবে তাঁর লেখনী থেকে বেরিয়ে আসে দাদার বহিরঙ্গ জীবনের অন্তরালে আছে একটি ঋদ্ধ, হৃদ্য, নির্ভেজাল কবিমন। কত কবিতা ও গান তিনি রচনা করেছেন। এগুলির কোনটাই তাঁর সাধ্যসাধনা ক'রে লেখা নয়। ভাবছেন আর কালির আখরে তা' এসে যাচ্ছে। জনাকীর্ণ পরিবেশ বা শারীরিক অসুস্থতা, কোন-কিছুই তাঁর রচনার কাজ ব্যাহত করতে পারেনি। তাঁর গানের বই 'দীপান্বিতা', 'শেষের সেদিন ভয়ঙ্কর' নামক চমক সৃষ্টি করা কবিতা (যেটা পরে সুরসংযোগে গীতও হয়েছে) ইত্যাদি রচনাগুলি তাঁর কবিপ্রতিভার দুরন্ত স্বাক্ষর। তা' ছাড়া, ইং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ সৃষ্টি হবার পর এক রাত্রির মধ্যে বাংলাদেশ-জন্মের যাবতীয় ইতিহাস বিবৃত ক'রে যে সুদীর্ঘ কাব্যটি দাদা লিখেছিলেন, আমার মতে তা' বঙ্গসাহিত্যের উৎকৃষ্ট সম্পদস্বরূপ। সেই রাতে দাদার প্রচণ্ড শরীর খারাপ, গায়ে জ্বর, সর্দিকাশিতে গলার স্বর ব'সে গেছে। সারা গায়ে-মাথায় অস্বস্তি। এই অবস্থার মধ্যে তিনি যে কীভাবে ঐ দীর্ঘ রচনাটি ভাব, ভাষা ও ছন্দের পূর্ণ সামঞ্জস্য ঘটিয়ে রচনা করলেন, তা' ভেবে পাই না। তাই বলছিলাম, এ মস্তিষ্ক বিধাতার এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। মানুষকে পর ক'রে দেওয়া বা দূর ক'রে দেওয়ার মতো কোন কথা দাদার মুখে কখনও শোনা যায় না, ঐ জাতীয় ব্যবহারও দেখা যায় না। তিনি সবাইকে নিয়ে চলতে চান। বর্ত্তমানে তিনিই তাঁর পরিবারের কর্ত্তা, আবার সংঘনেতা।দিনে-রাতে অনেকখানি সময় তিনি মানুষের জন্য ব্যয় করেন। মানুষ এসে যেন তাঁর সান্নিধ্য পেতে পারে, কথা বলতে পারে তাঁর সঙ্গে, এদিকে তিনি প্রথম থেকেই লক্ষ্য রাখছেন বলে সৎসঙ্গী জনগণ একটা আশা পাচ্ছে, ভরসা পাচ্ছে। উৎসবের সময় বহু লোকের সংস্পর্শে আসার ফলে হয়তো তাঁর শরীর অসুস্থ হ'য়ে পড়েছে, দেহের তাপমাত্রা অনেক, তাই নিয়েই তিনি রাত দেড়টা-দু'টা পর্য্যন্ত বাইরে ব'সে লোকের কথাবার্ত্তা শুনছেন, প্রয়োজনমতন কথাও বলছেন। তাঁর এই দরদভরা ব্যবহারে মানুষ উদ্দীপ্ত হয়ে উঠেছে। আবার, মনস্তত্ত্ব-বিচারেও দাদার ক্ষমতা অসাধারণ। কতরকম লোকই তো তাঁর কাছে আসছে। যার যেমনটি দরকার তা' বুঝে নিয়ে তাকে যথাযথ পরিবেশন করার একটি বিশেষ দক্ষতা তাঁর আছে। তাতে মানুষ তৃপ্তও থাকছে। মানুষকে আপন ক'রে রাখার এক বিশেষ নৈপুণ্য তাঁর মধ্যে সুস্পষ্টভাবেই লক্ষ্য করা যায়। যে যৌবনকালে দাদার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়, তখন থেকেই দেখছি তাঁর এই আপন-করা স্বভাব। এই স্বভাবের গুণে তখন থেকেই তিনি ছিলেন তাঁর বন্ধুবর্গের কাছে স্বাভাবিক নেতা। পরবর্ত্তীতে সেই ভাব আরো প্রসারিত হয়েছে। আমাদের অনেকের জীবনে বন্ধু থাকে, আবার স্বার্থের সংঘাতে বন্ধুবিচ্ছেদও ঘটে। দাদা যাকে একবার বন্ধু ব'লে গ্রহণ করেছেন, তার সঙ্গে তাঁর প্রীতিবন্ধন স্থায়ী হ'য়ে আছে এবং তার জন্য তাঁর করাও নেহাৎ কম নয়। এই ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে অনেক কথাই বলার আছে। ভাগ্যবান তিনি। বিশ্বের মালিক, পরমদয়াল, গুরু-পুরুষোত্তম তাঁর পিতামহ। অসীম সাধনার বলে তিনি এই বংশে জন্মগ্রহণ করার মহাসৌভাগ্য অর্জ্জন করেছেন। দাদার কিশোর বয়সে শ্রীশ্রীঠাকুর একদিন বলেছিলেন, "অশোককে দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে হয়। শুনেছি, তৃতীয় পুরুষে নাকি গুণরাজির বিকাশ হয়। তাই, অশোকের উপর আমার খুব আশা।" প্রার্থনা পরমপিতার শ্রীচরণে---- দাদা দীর্ঘজীবী হউন, সুস্থ-স্বস্থ থেকে সবাইকে এগিয়ে নিয়ে চলুন ইষ্টপথে, তাঁর কর্ম্ম ও চিন্তায় জয়যুক্ত ক'রে তুলুন পরমারাধ্য ইষ্টদেবকে। সমাপ্ত-----

*** [ উক্ত লেখাটি—- ‘সৎসঙ্গ পাবলিশিং হাউস’—- সৎসঙ্গ, দেওঘর, ঝারখণ্ড থেকে প্রকাশিত মাসিক পত্রিকা—- ‘আলোচনা’—- কার্ত্তিক, ১৪০৮/ নভেম্বর, ২০০১ (৫৩ বৰ্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা, অনুকূলাব্দ- ৫৬) – এর শ্ৰীদেবীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রচিত—- ‘দাদা’ নামক রচনা থেকে নেওয়া ]

 অনেকেই ভাবি যে এখনও ভগবানের সেবা পূজা করার সময় হয়নি সবাই একটু ভালো করে লক্ষ্য করি ভালো করে।ধরুন কোন ব্যাক্তির গড় আয়ু কমপক্ষে ৬৫ বছর হয়।কিন্তু কীভাবে এই অল্প আয়ু আমাদের জীবন থেকে খুব সহজেই চলে যায় দেখে নিই।
~নিদ্রায় কাটাই আমরা...................২২বছর
~নিত্য কর্মে কাটাই........................২.৫বছর
~ভোজন করতে কাটাই.................৫.৫বছর
~যাতায়াত করতে কাটাই...............৫.৫বছর
~কর্মস্থল কাটাতে হয়.....................১৬বছর
~ব্যাক্তিগত চিন্তায় চলে যায়...........১১বছর
~বিবিধ কাটানো হয়.....................২.৫বছর
এই চলে যাচ্ছে আপনারও আমার ৬৫বছর।চিন্তা করে দেখুন আপনি কী করলেন এই সময় এর ভিতরে?ভগবানকে দিলেন না এক মিনিটও কিন্তু আপনার চিন্তায় কাটালেন এই ৬৫ বছর।কিন্তু যদি কেউ বলে যে একটু ভগবানের নাম জপ করুন তাহলে এই উত্তর আসে সময় হয় হয়নি। আপনি কী সময় কে নিয়ন্ত্রণ করছেন না সময় আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করছে ভেবে দেখুন।যদি এভাবেই অবহেলা কাটানো হয় এই জীবন তো কই আর কত দিন ৬৫ বা তার চেয়ে বেশি কাটাবেন।তারপরে কোন যোনিতে জন্ম হবে একমাত্র ভগবানেই জানেন।তাই এই দিন গুলি চুরি হয়ে যাচ্ছে আপনার আমার থেকে। তাই ভগবানের সেবায় যত সময় যুক্ত থাকিবো ততই সেই সময় আমার অন্তিমে কাজে লাগবে।তাই যত পাড়বো ভক্তসঙ্গ এবং ভগবানের সেবায় কাটাতে চেষ্টা করি সবাই।
ভগবান আমাদের সবার সৎপথে চলার শক্তি দিন

No comments:

Post a Comment