Amazon Online Store

Blog Archive

Total Pageviews

Tuesday, November 23, 2010

চলন হারা চরণ পূজা, বন্ধ্যা পূজা তাই জানিস।




HTML Image as link


The following image works as a link:


Qries


আমরা কি বন্ধ্যা পূজা করছি?

সনাতন ধর্মের বড় এটা অংশ হলো বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা-পার্বণ ও বিভিন্ন ব্রত এবং যজ্ঞ। এই পূজা পার্বনগুলো ঘিরে বিভিন্ন উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,পালাকীর্ত্তন, লীলাকীর্ত্তন, নাম সংকীর্ত্তন, ধর্মসভা, মহাপ্রসাদ বিতরণ, বস্ত্র বিতরণসহ আরও নানা অনুষ্ঠানাদি হয়ে থাকে।সুদূর প্রাচীনকাল থেকে আর্যদের মধ্যে বিভিন্ন দেবদেবীর পূজার প্রচলন ছিল মানুষের বিশ্বাস ও সামাজিক জীবনের বন্ধন সুদৃঢ় করার মানসে। ঈশ্বরের আরাধনার যে বিভিন্ন পদ্ধতি ঋষিরা দিয়ে গেছেন তার বাস্তব প্রতিফলন এটা। বিভিন্ন সময়ের আবহে এই পূজা-পার্বণের প্রেক্ষাপট, ক্ষে্ত্র, ধরণ, অনুশীলন,পরিধির পরিবর্তন হয়েছে। বেদে দেব-দেবীর স্তুতিমূলক এবং গাঠনিক বর্ণনামূলক শ্লোক রয়েছে। এছাড়া পরে বিভিন্ন লৌকিক দেবতা পূজার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন বিভিন্ন কারনে। পর্যায়ক্রমিক এই ধারায় দেব-দেবীর পূজার সংখ্যা ও আচার-অনুষ্ঠানাদির ব্যাপক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। আবার ডিজিটালাইজেশানের যুগে বর্তমানে অঞ্চল থেকে অঞ্চলে বিভিন্ন মিডিয়াকে ভর করে পূজা-পদ্ধতি ও বিনোদনের ক্ষেত্রগুলো খুব প্রসার লাভ করেছে। এই পরিবর্তন এত দ্রুত হয়েছে যে, আদৌ এগুলোর প্রয়োজন আছে কিনা কিংবা পূজার সাথে এগুলো সংগতিপূর্ণ কিনা ভেবে দেখার সময় হয় নি। তবে, এখন এটা ভাবা খুব জরুরি হয়ে পড়েছে।

বিভিন্ন পূজা-পার্বণের সাথে অর্থনীতি ও রাজনীতির একটা বিশাল যোগসাজশ আছে। অনেকের জীবন-জীবিকা এই পূজার উপর অনেকটা নির্ভরশীল। শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণযোগ্যতা বা অগ্রহণযোগ্যতার চাইতেও এর সাথে জড়িত অর্থনৈতিক কার্যক্রম  বেশ বড় ভূমিকা রাখছে এর প্রসারে। নৈবদ্য, কাপড়, পূজার উপকরণাদির ব্যবসা জমজমাট হচ্ছে দিন দিন।
তবে পূজার আদর্শগত ভিত্তি,আধ্যাত্মিক ভিত্তি ও বাস্তবিক ভিত্তি কি তা মূল্যায়ন করার ও পরিমাপ করার কোন সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। এই বৃহৎ যজ্ঞের মূল শিক্ষাই কি বা ক্ষতিই বা কি তা জানার সদিচ্ছা বেশিরভাগ সনাতনীরই নেই। কোন পূজার কি মাহাত্ম্য তা জিজ্ঞেস করলে এর সদুত্তর অনেকের থেকেই পাওয়া যাবে না। তাই এই পূজাকে ঘিরে এত যে বাহুল্যতা ও অযৌক্তিক উন্মাদনা তার গতিকে রোধ করার ক্ষমতা করো হাতে আছে কিনা জানা নেই।  

যুগপুরুষোত্তম পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বলেছেন, আমরা যদি চলনছাড়া চরনপূজা করি তবে তা বন্ধ্যা পূজার শামিল হবে। অর্থ্যাৎ এই পূজার কোন ফল বাস্তব ফল নেই।
পূজা মানে হচ্ছে দেবতার গুনকে নিজের মধ্যে আচরনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা। আমরা যে দেবতার পূজা করছি যেন সেই দেবতার মত নিজের জীবনকে সাজাতে পারি, গড়ে তুলতে পারি। আমাদের মাঝে  দেবভাব গজিয়ে উঠবে। আমাদের আচরনে পরিবর্তন আসে। আমাদের ভাষা-ব্যবহারে পরিবর্তন আসে। এটাই দেবদেবী পূজার মূল মাহাত্ম্য। বাস্তব মূর্তি পূজা।
দেবতা মানে যিনি দীপ্তি পাচ্ছেন । যিনি আলোকিত, দীপ্তিমান তিনি দেবতা।
কিন্তু আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্র হলো উল্টো। আমরা পূজা মানে বুঝি নৈবদ্য দেওয়া, প্রসাদ খাওয়া, ডিজে গান বাজানো, ডান্স করা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা, মেয়েদের নিয়ে তামাশা করা, ডেটিং করা,ভালো ভালো শাড়ি পড়ে ঘুরে বেড়ানো, দামী দামী প্যান্ডেল আর লাইটিং করা, মদ খেয়ে মাতলামী করা, এই প্যান্ডেল ওই প্যান্ডেল ঘুরে বেড়ানো আর যার কাছ থেকে যত বেশী পারা যায় চাঁদা আদায় করা -এসব। এসব কান্ড কারখানার ঠেলায় পূজার আসল মাহাত্ম্য বুঝার সময় কোথায়। কারন এত সময় কার আছে যে এসব ক্লাসিক তত্ত্ব বুঝতে যাবে। হিপ হপের যুগে ওসব ক্লাসিক চলে না। ধর্মীয় গানের বালাই নেই শুধু বাজবে হট গান। এসব হট গানের ঠেলায় আশে পাশের জীবন্ত মানুষের জীবন অতিষ্ট। কোন ক্লাব কত সুন্দর ডিজাইন করল,কে কত টাকা খরচ করতে পারল, কে কত টাকা লাইটিং করতে পারলো তার প্রতিযোগিতাই চলতে থাকে। অনেকের আবার এসব পূজো থেকে ভালো আয় হয়। সারা বছরের চলার টাকা এখান থেকে রোজগার হয়। ব্রাহ্মণও ভালো প্রণামী পান তাই তিনি এসব বিষয় বলে কেন প্রণামী থেকে বঞ্চিত হবেন। তিনি সব বুঝে শুনে চুপ করে থাকেন। তিনি উল্টাপাল্টা বললে তো উনার চাকরিটাই থাকবে না। এসব এখন প্রচলিত সত্য। আসল সত্য এখন অন্দরে-কন্দরে লুকিয়ে থেকে মুখ ঢেকে কান্না করে। কবে সনাতনীদের বিবেক জাগ্রত হবে? কবে তারা বুঝবে আসল ধর্ম কি?
তাই শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র এই কথাটা আমাদেরকে সচেতন করে দিযেছেন। আমাদেরকে সাবধান করে দিয়ে গেছেন। চলন হারা চরণ পূজা, বন্ধ্যা পূজা তাই জানিস।

অনেকে পূজোয় চাঁদা দেওয়াটাকে বড় ধর্ম মনে করেন। কারন আমি টাকা দিয়েছি, ব্রাহ্মণ পূজো করেছে, দু-পাঁচ হাজার লোক ভোজন করেছে ধর্ম তো হয়ে গেল। এত উপাসনা, ধ্যান, শাস্ত্র অধ্যয়ন, সদাচার পালনের  কি দরকার? দু একটা সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিলে লাইকের পর লাইক একেবারে ভাইরাল। আর সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারলে তো কথাই নেই। আমি তো নিজেকে বড় মানবতাবাদী ও বড় ধার্মিকরূপে প্রতিষ্ঠা করতে সফল হলাম। পরবর্তীতে বড়  একটা সংগঠনের কোন একটা পোস্ট কিনে নিতে পারলেই কেল্লা ফতে। আমার আর কি লাগে।

আমরা এত  পূজা করি অথচ আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের গতি নেই কেন? আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি কেন? আমরা কি তাহলে সঠিক পথে নেই?
               
শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তাই বলেছেন,

পূজা-পাঠ তুই যতই করিস
       ফুল তুলসি গঙ্গা জলে,
অনুশীলনী-কৌশল ছাড়া
ফল হবে না কোন কালে। 
আমরা খালি ফুল ,তুলসী আর গঙ্গা জলে পূজো দিতে অভ্যস্থ অথচ কোন ধরনের অনুশীলনে আমরা আগ্রহী না। ধর্ম চর্চা যত না করা যায় ততই আমরা খুশি । আমরা শুধু আড্ডা আর মদ খেয়ে যাবো আর বৌকে টাকা দিব সে মন্দিরে গিয়ে পূজো দিয়ে আসবে অথবা ব্রাহ্মণ বাড়িতে এসে পূজা দিয়ে গেল আমাদের ধর্ম তো হয়ে গেল। আমাদের আর মন্দিরে যাবার দরকার কি? ব্রাহ্মণ তো উনার মত করে টাকার বিনিময়ে আমাদের জন্য দেবতাকে ডেকে দিয়েছেন। কত সুন্দর আমাদের ধর্ম চর্চা ! এইভাবে আমরা বংশ পরম্পরা দেখে আসছি। তাতেই আমরা অভ্যস্থ। আমার বাবা করেনি, বাবার বাবা করে নি,বাবার বাবার বাবা করে নি আমিও করছি না আর আমার ছেলেও করবে না। এইভাবেই আমাদের সনাতন ধর্ম এগিয়ে যাবে। খুড়িয়ে খুড়িয়ে যতটুকু যাওয়া যায়। টাকা দিয়ে যদি ধর্ম হতো তাহলে আমাদের আগেকার জমিদারদের অহংকারের আস্ফালনে করা পূজার অনর্থ হিসেবে আজকে পথের ফকির হতে হতো না অথবা বংশ নির্বংশ হতে হতো না।

রাজসিকভাবে দেবদেবীর পূজায় আমাদের ক্ষতিঃ
১) আমাদের মাঝে বিকৃত রুচি তৈরী হচ্ছে। যা পরবর্তীতে আমাদের জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করতেছে।
২) কুসংস্কার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৩) হিন্দুরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। লাখ লাখ টাকার প্রতিমা বিসর্জন দিচ্ছে । লাখ লাখ টাকা প্যান্ডলে ও লাইটিংয়ে ব্যয় হচ্ছে।
৪) হিন্দু ছেলেপেলেরা বার মাসে তের পার্বনের আয়োজন করতে গিয়ে পূজার চাঁদা তুলতে গিয়ে তাদের পড়াশুনার ক্ষতি হচ্ছে খুব। তারা ভাবতেছে এটাতে অনেক ধর্ম হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারা মেধার অপচয় করতেছে আর অবনতির দিকে ঢলে পড়তেছে।
৫) ধর্মের প্রকৃত সত্য থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি।
৬) ধর্মের অনুশীলন থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি।
৭) নিজেদেরকে জ্ঞানের চর্চা থেকে দূরে সরিয়ে রাখছি।
৮) আমাদের কুমারী মেয়েদের ক্ষতি হচ্ছে বেশি তারা পূজায় ঘুরতে গিয়ে বিভিন্নভাবে হেনস্থার স্বীকার হচ্ছে। আরও নানাভাবে বিপদগ্রস্থ হচ্ছে। তাদের মধ্যে একধরনের মানসিক বিকৃতি ঢুকে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরী হচ্ছে।
৯) ছেলেগুলো বখাটে হওয়ার শিক্ষা পাচ্ছে।
১০) ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে ডান্সের কারনে বিকৃত মানসিকতা গড়ে উঠতেছে।
১১) পূজার নামে মদ খাওয়ার যে চর্চা হয় তাতে ঐ ছেলেগুলোর মাঝে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার ঝুকি বাড়ে বা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।
১৩) ডিজে গানের ঠেলায় প্রকৃত ধর্ম চর্চা ব্যহত হচ্ছে এবং মানুয়ের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হচ্ছে।
১৪) ধর্মীয় বিশ্বাস ভঙ্গুর হচ্ছে দিন দিন। ধর্মান্তরের পথ প্রশ্বস্থ হচ্ছে।
১৫) ধর্মকে সাত্বিকভাবে না করে রাজসিক ও তামসিক করে ফেলছে। যাতে রাক্ষস আর ভূত প্রেতের পূজাই বেশি হচ্ছে।
১৬) এক জনের রোগব্যাধি বহুজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।
১৭) পাড়ায় পাড়ায় ক্লাবের নামে চাঁদাবাজ গ্রুপ তৈরী হচ্ছে।
১৮) প্রকৃত কর্মের সাধনাকে ভুলে বিকৃত সাধনায় জড়িত হচ্ছে।
১৯) বাস্তব আদর্শ ও মূল্যবোধের চর্চা সংকুচিত হচ্ছে। বড়দের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা কমে যাচ্ছে।

পূজার ধরণ কত প্রকারঃ

শ্রীকৃষ্ণ গীতার জ্ঞান-বিজ্ঞান যোগের ২২ নম্বর শ্লোকে বলেছেন,
যে দেবদেবীর পূজা  করে সে দেবলোক প্রাপ্ত হয় আর আমাকে যে ভজনা করে সে আমাকে লাভ করে।
শ্রীকৃষ্ণ গীতার চতুর্থ অধ্যায়ে জ্ঞানযোগের ১২ নম্বর শ্লোকে বলেছেন, যে ব্যক্তি দেবতার পূজা করিয়া সিদ্ধি লাভ করিতে চায় ,তবে সে দেবতাকে পায় কিন্তু মুক্তি লাভ করিতে পারেনা।

শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কি ভগবান? জানতে ক্লিক করুন..... 


গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন- শ্রীমদভগবদগীতা ৯.২৫
শ্লোক-
যান্তি দেবব্রতা দেবান পিতৃন যান্তি পিতৃব্রতাঃ ।
ভূতানি যান্তি ভূতেজ্যা যান্তি মদযাজিনোহপি মাম।।


অনুবাদ-
“দেবতাদের উপাসকেরা দেবলোক প্রাপ্ত হবে, পিতৃপুরুষদের উপাসকেরা পিতৃলোক
লাভ করে, ভূত-প্রেত আদির উপাসকেরা ভূতলোক লাভ করে এবং আমার উপাসকেরা আমাকেই লাভ করে”


অর্জুনের – শ্রদ্ধা কাকে বলে – এই প্রশ্নের উত্তরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন যে -শ্রদ্ধা তিন প্রকারের – সাত্ত্বিক, রাজসিক ও তামসিক| শ্রদ্ধা জন্মান্তরকৃত ধর্মাদিসংস্কার হতে জাত| এই জন্যেই জীবের ত্রিবিধ স্বভাব হতে জাত শ্রদ্ধাও তিন প্রকার – সাত্ত্বিকী, রাজসিকী ও তামসিকী| সাত্বিক ব্যক্তিগণ দেবগণের পূজা করেন, রাজসিক ব্যক্তিগণ যক্ষ ও রাক্ষসগণের পূজা করেন এবং তামসিক ব্যক্তিগণ ভুতপ্রেতাদির পূজা করেন| এমনকি এই তিন প্রকার ব্যক্তিগণের আহারাদিও গুণভেদে তিন প্রকার| যে সকল আহার আয়ু, উদ্যম, বল, আরোগ্য, সুখ ও প্রীতি বৃদ্ধি করে, সরস, স্নিগ্ধ ও পুষ্টিকর এবং মনোরম সেইগুলিই সাত্ত্বিক ব্যক্তিগণের প্রিয় হয়| যা সকল আহার দুঃখ, শোক ও রোগ সৃষ্টি করে এবং অতি তিক্ত, অতি অম্ল, অতি লবণাক্ত, অতি উষ্ণ, অতি তীক্ষ্ণ, অতি শুষ্ক এবং অতি প্রদাহকার সেইগুলিই রাজসিকগণের প্রিয় হয়| আর কাঁচা, দুর্গন্ধময়, বাসী, উচ্ছিষ্ট ও যজ্ঞে নিষিদ্ধ সেইসব আহারই তামসিকগণের প্রিয় হয়|
এইরূপ যজ্ঞও তিন প্রকার| যজ্ঞ করাই কর্তব্য মনে করে ফলাকঙ্খাবিহীন ব্যক্তি শাস্ত্রবিহিত যে যজ্ঞ করেন তাহাই সাত্ত্বিক যজ্ঞ| কিন্তু স্বর্গাদি ফল কামনা করে দম্ভ প্রকাশের জন্য যে যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় তা রাজসিক যজ্ঞ| আর শাস্ত্রবিধিবর্জিত, অন্নদানশুন্য, মন্ত্রহীন, দক্ষিণাবিহীন, শ্রদ্ধারহিত যে যজ্ঞ তা তামসিক যজ্ঞ| অনুরূপভাবে তপস্যাও তিন প্রকারের – সাত্ত্বিক, রাজসিক ও তামসিক| দেবতা, ব্রাহ্মণ, গুরুজন ও প্রাজ্ঞগণের পূজা এবং শৌচ, সরলতা, ব্রহ্মচর্য, অহিংসা, অনুদ্বেগকর, সত্য, প্রিয় ও হিতবাক্য এবং বেদাদি শাস্ত্র পাঠ, মনের প্রসন্নতা, সৌম্যভাব, বাকসংযম, মনের নিরোধ, ব্যবহারে ছলনারহিত, ফলাকাঙ্খাবিহীন সমাহিত ব্যক্তিগণ শ্রদ্ধাভরে যে তপস্যা করেন তা হল সাত্ত্বিক তপস্যা| সম্মান ও পূজা পাবার আশায় যে তপস্যা করা হয়, যা ইহলোকে কদাচিৎ ফলপ্রদ হয় সেই তপস্যা হল রাজসিক তপস্যা| আর দুরাকঙ্খার বশবর্তী হয়ে দেহ ও ইন্দ্রিয়কে কষ্ট দিয়ে বা অপরের তপস্যা বিনাশের জন্য যে তপস্যা করা হয় তা হল তামসিক তপস্যা| দান করা কর্তব্য এইভাবে প্রত্যুপকারের আশা না করে পুণ্যস্থানে, শুভ সময়ে ও উপযুক্ত পাত্রে যে দান করা হয় তাকে সাত্ত্বিক দান বলে| যে দান প্রত্যুপকারের আশায় ও কোন পারলৌকিক ফল লাভের উদ্দেশ্যে এবং অনিচ্ছাসত্ত্বেও করা হয় তা রাজসিক দান| অশুচি স্থানে, অশুভ সময়ে ও অযোগ্য পাত্রে অবজ্ঞাপূর্বক ও প্রিয়বচনাদি সৎকার-রহিত যে দান করা হয় তা হল তামসিক দান|

 শ্রীকৃষ্ণের কথা অনুসারে আমরা কি আদৌ দেবতার পূজা করছি নাকি রাক্ষসের পূজা করছি সেটা একটু ভেবে দেখবেন। রাজসিক মনমানসিকতা নিয়ে আসলে কি সাত্বিকভাবে দেবতার পূজো হয়?

হিন্দুদের ৩৩ কোটি দেবতাঃ
  হিন্দুরা শুধুই জানে ৩৩ কোটি দেবতা আছে তাদের। কিন্তু কখনও তারা ৩৩ কোটি দেবতাগুলো কে কে এটা চেনার চেষ্টাও করেনি। ৩৩ কোটি দেবতার নাম কি কি?  সংস্কৃত কোটি শব্দের বাংলা অর্থ প্রকার। ৩৩ কোটি অর্থাৎ ৩৩ প্রকারের দেবতা হিন্দুদের। চলুন তাদের নামগুলো জেনে নিই। শতপথ ব্রাহ্মণে (১৪/৫)যাজ্ঞবল্ক্য ঋষি শাকল্য বলছেন : 

অষ্টবসু- ১.অগ্নি ২.পৃথিবী ৩.বায়ু ৪.অন্তরীক্ষ ৫. দ্যৌঃ ৬.আদিত্য ৭.চন্দ্র ৮.নক্ষত্র 

একাদশ রুদ্র : ৯.প্রাণ ১০.অপান ১১.ব্যান ১২.সমান ১৩.উদান ১৪.নাগ ১৫.কুর্ম ১৬.কৃকর ১৭.দেবদত্ত ১৮.ধনঞ্জয় ১৯.জীবাত্মা দ্বাদশ আদিত্য : ১২মাসকে এক সাথে দ্বাদশ আদিত্য বলা হয় তাহলে ১৯+১২=৩১জন ৩২.ইন্দ্র অর্থাৎ বিদ্যুৎ এবং ৩৩.প্রজাপতি বা শুভকর্ম ।

আমরা কত দেব -দেবীর পূজা করছি যেমন-কালী,শিব,দুর্গা, স্বরসতী, গনেশ, কার্তিক, মনসা, তারা, শীতলা, শনি, লক্ষী,বিপদনাশিনী, বিশ্বকর্মা , অশ্বিনীকুমার আরও ৩৩ কোটি দেবতা। অথচ দেখেন গনেশ পূজা করি আমাদের মধ্যে বুদ্ধি কম, লক্ষীর পূজা করছি কিন্তু ধনদৌলত নাই, কার্তিকের পূজা করি কিন্তু আমরা নিরীহ, স্বরসতীর পূজা করি কিন্তু আমাদের বিদ্যা অর্জনের জন্য অক্সফোর্ডে যেতে হয়, শনি পূজা করেও গ্রহদশা যাচ্ছে না। সবচেয়ে বেশী জাকজমক হয় দুর্গা পূজা অথচ ধর্ষনে আমাদের স্থান দ্বিতীয়। তাহলে সেই পূজার মানে কি? এরকম আরও বহু বলা যায়। 

মা-বাবাই জীবন্ত গৃহদেবতা।
আমরা পূজার নাম করে কত কিছু করছি। বড় বড় মন্দির করছি। প্রসাদের ব্যবস্থা করছি। পূজাতে দেবতার নামে নিশংসভাবে পশুবলি দিচ্ছি। অথচ আমার ঘরের জীবন্ত মা-বাবা তাকে মানছি না। তাদের শ্রদ্ধা করছি না, সম্মান করছি না। তাদের খাবার দিচ্ছি না। চিকিৎসা করাচ্ছি না। তাদের সাথে ভালো আচরন করছি না। আমি বউ নিয়ে আলাদা থাকছি অথচ তাদের খোঁজ খবর রাখছি না। এটাই হল মূল ধর্ম। প্রকৃত দেব-দেবী হলো আমার বাবা মা। তাদের আগে সেবা করতে হবে। শিবের মাথায় জল না ঢেলে ,দুধ না ঢেলে বৃদ্ধ মা বাবাকে খাওয়ান। তাতে উনারা খুশি হয়ে আশীর্বাদ করলে আপনি এমনিতেই ভাল থাকবেন। মাসে মাসে ৩৬টা পূজো না দিয়ে ঘরে আগে খাবার যোগান। তাতে আপনার জীবনে এমনিতেই শান্তি আসবে। দেবতার মন্দিরে মাথা ঠুকলে পয়সা আসবে না। কর্ম করলে পয়সা আসবে।  সুতরাং ওটা হলো বড় ধর্ম। সৎচিন্তা, সৎকর্ম, সদাচার, জ্ঞান আহরন, মানবতা এসব বড় ধর্ম। আপনি ভালো থাকলে, ভালো চললে দেবতা এমনিতেই আশীর্বাদ করবেন। দীক্ষা ,প্রার্থনা, নামধ্যান, গ্রন্থ অধ্যয়ন, জপ, সদাচার, এসব হলো প্রাত্যহিক অনুশীলন। অনুশীলন ছাড়া আমরা সহজে কোন ফল পাবো না। আমাদের জীবনের প্রকৃত উন্নয়ন করতে চাইলে দানের পাশাপাশি অনুশীলন করতে হবে। ব্রাহ্মণকে দিয়ে করালে হবে না। লোক ভাড়া করে যদি আপনার বাবাকে বাবা ডাকান বাবা কি খুশি হবেন। কিন্তু আপনি ডাকলে উনি খুশি হবেন। নিজেই নিজের প্রার্থনা করতে হবে। পরিবারে ধর্মানুশীলন বাড়াতে হবে। তাতেই ধর্মের প্রকৃত জাগরন ঘটবে। আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে।

 শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কি ভগবান? জানতে ক্লিক করুন......

ব্রাহ্মণের বৈশিষ্ট্যঃ

আবার দেখুন , যে ব্রাহ্মণ দিয়ে আমরা পূজা করাই আসলে সে পূজা করার যোগ্য কিনা। তার মধ্যে সাত্বিক আচরন আছে কিনা। যে মাংসাশী, ধূমপায়ী, কুলসংস্কারহীন ও অসদাচারী সে আবার কি করে দেবতার পূজা করবে? সেই ব্রাহ্মণ দিয়ে পূজা করালে কি আদৌ মঙ্গল হবে আপনার? আদৌ কি সেই পূজা সফল হবে? আদৌ কি দেবতা সন্তুষ্ট হয়ে গ্রহণ করবেন? যেটা করে আপনি সন্তুষ্ট না তাতে দেবতাও সন্তুষ্ট নন। আপনার মনকে আপনি প্রশ্ন করে দেখুন। তাইতো অমঙ্গল আমাদের উপর ঘাড়ে চেপে বসেছে। তার চেয়ে দেবতার পূজা নিজে করাই শ্রেয়। ভক্তিভরে তাকে ফুল, তুলসী, চন্দন ও ধূপ দিয়ে পূজা করলে দেবতা খুশিমনে তা গ্রহণ করবেন। এর দ্বারা নিজের মধ্যেও ভক্তিভাব জাগ্রত হবে। লাখ লাখ টাকা খরচ করে কীর্ত্তন দলি এনে ভগবানকে না ডেকে , নামসংকীর্ত্তন না করে নিজেরা করুন তাতেই মঙ্গল হবে আপনার। এতে সবার মঙ্গল হবে বেশি।

নৈবদ্য আর প্রসাদের ধর্মঃ

হিন্দু ধর্ম হয়ে গেছে নৈবদ্য আর প্রসাদের ধর্ম। বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে বছরে একবার বা দুবার পূজো দিয়ে আসলাম আমার বেশ ধর্ম হয়ে গেল। আমার আর কোন ধর্মানুশীলনের দরকার নেই। তাহলে ,দেখুন আপনি তো প্রতিদিন তিনবেলা খাচ্ছেন, তাও মাছ-মাংস আরও নানা তরকারী দিয়ে আর ভগবানকে দিচ্ছি চিনি,বাতাসা অথবা কিচমিচ। তাও আমার যখন সময় হবে তখন। কোনদিন ১ টায় আবার কোনদিন ৩ টায়।  আর মহোৎসবগুলোতে আমরা যাই প্রসাদ খেতে কীর্ত্তন আর ধর্মসভা শুনার সময় আমাদের হয় না। কোনমতে প্রসাদটা খেতে পারলে আমার স্বার্থ উদ্ধার হলো এবার যেতে পারলে বাঁচি। আমাদেরকে এসব ধারা থেকে বের হতে হবে। আমি ঠাকুরের কথা শুনতে যাব আমার প্রয়োজনে। খাবার প্রয়োজনে নয়। বাস্তবতা হলো প্রসাদ না দিলে তো আমরা সেখানে যাবই না।

শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বলেছেন,

নিজ হাতে গুরুসেবা করলে অহংকার পাতলা হয়। 

প্রকৃত ধর্ম কিঃ
 
বাঁচা-বাড়ার মর্ম যা
ঠিকই জানিস ধর্ম তা।
বাঁচতে নরের যা যা লাগে
তা তা দিয়েই ধর্ম জাগে।
ধর্মে জীবন দীপ্ত রয়
ধর্ম জানিস একই হয়।

বেশিরভাগ দেবতার পূজা আমাদের প্রকৃত ধর্ম নয়। আমাদের প্রকৃত ধর্ম হলো বাঁচা এবং বাড়া। জীবনে আমরা কি করে বাঁচব আর বাড়ব তাই হচ্ছে প্রকৃত ধর্ম। আর সেই বাঁচা আর বাড়াটা কিভাবে হয়  আমাদের সদগুরুর দীক্ষা নিতে হবে। যুগপুরুষোত্তমের দীক্ষা নিতে হবে। ভগবানের দীক্ষা নিতে হবে। দীক্ষা নিয়ে সেই যুগপুরুষোত্তমের নির্দেশ অনুযায়ী আমাদের চলতে হবে। কারন যুগপুরুষোত্তমের আদর্শে আছে বর্তমান যুগের প্রকৃত মুক্তির পথ। ভগবানের পূজা-অর্চনা করা আর তার আদর্শ অনুসরণ করাই আমাদের কর্তব্য। দেবতাদের পূজার দ্বারা আমাদের কোন জ্ঞান হয় না। দেখুন আপনি পূজা মন্ডপে যান তারপর প্রতিমা দেখে ঘুরে চলে আসেন। সেখানে কোন ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা নেই। সত্যিকার বাস্তব জ্ঞান  অর্জনের সুযোগ নেই। বাস্তবিক জীবনে চলার জন্য সঠিক নির্দশনা পাওয়া যায় যুগাবতারের কাছ থেকে। 
শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বলেছেন,
সবদেবতার সমাহারে
                        পুরুষোত্তমের সৃষ্টি,
সহজ মানুষ নররূপে 
                      করেন ধৃতি বৃষ্টি। 
যুগপুরুষোত্তম প্রতি যুগে যুগে ধরাধামে আসেন এবং আমাদের মুক্তির পথ বলে দিয়ে যান।  যুগপুরুষোত্তম ও ভগবানই আমাদের জীবনের প্রকৃত আদর্শ। আমাদের সংস্কৃতির অংশ হিসেবে আমরা দেব-দেবীর পূজা দিতে পারি। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে আমরা যেন সময়মত দীক্ষা নিয়ে সঠিক পথ অনুসরন করি। জীবনের বাস্তব পথ ভুলে অবাস্তব পথকে অনুসরন না করি। জীবনকে সার্থকভাবে পরিচালিত করার জন্য আমাদের গুরু ধরা জরুরি। তিনি আমাদের শিখিয়ে দিবেন কোন পথে গেলে আমাদের প্রকৃত মঙ্গল হবে। আমাদের জীবনে সুখ ও শান্তি আসবে। তাই আমাদের প্রকৃত পথ খুঁজে নিয়ে সেই পথ অনুসরন করতে হবে।
শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন, তোমরা সব কিছু ছেড়ে শুধু আমারই আরাধনা কর, আমারই উপাসনা কর।
অথচ আমরা কৃষ্ণের কথা শুনিনি।আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে আকড়ে ধরে পুরনো বিধান নিয়ে পড়ে আছি। নতুনকে গ্রহণ করতে আমরা দ্বিধাগ্রস্থ। সেই কথা না শুনার কারনে আমরা আজকে বিপদের মধ্যে আছি। আমরা যদি শ্রীকৃষ্ণের কথা শুনতাম তাহলে আমাদের এত সমস্যা হত না। আজকে যখন আমাদের মূর্তি ভাঙা হয় আমরা কত দুঃখিত হই। কত মিটিং,মানববন্ধন,মিছিল করি। কিন্তু আমরা ভেবে দেখিনা আমরা সঠিক নাকি ভুল পথে আছি।
শ্রীশ্রী ঠাকুর আরও বলেছেন,
দেবতার পায়ে মাথা ঠুকে
                 ফাঁকিতে চাস বাগাতে মাল,
দেবতা কি তোর এতই পাগল
                ফাঁকি দেখেও নয় সামাল।
আমরা মন্দিরে গিয়ে দেবতার পায়ে মাথা ঠুকি যেন দেবতা আমাকে সব এমনি এমনি দিয়ে দেন। আমার সব পাপ যেন ক্ষমা করে দেন। আমাদের এরকম আচরন দেখলে দেবতাও হাসেন। কারন আমরা ফাঁকিবাজ। দেবতার পায়ে মাথা ঠুকে ক্ষমা চাই। বর ভিক্ষা চাই। দেবতাও তখন আমাদের ফাঁকি দেন। আমরা আমাদের কাক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারি না। 
শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বলেছেন,
দেবদেবতা হাজার ধরিস
              আচার্য্য যার ইষ্ট নয়,
স্পষ্টতর বুঝে রাখিস
              জীবন চলার নেহাত ভয়। 
আমরা যতই দেবদেবতা ধরি না কেন আমাদের একজন আচার্য্যকে আনুসরন করতে হবে। যিনি হচ্ছেন জীবন্ত আদর্শ। যিনি জীবনের বাস্তব তুকগুলি জানেন। আধ্যাত্মিক ক্ষমতা সম্পন্ন একজন গুরু আমাদেরকে অনুসরন করতে হবে। যিনি অনেক সমূহ বিপদ থেকে আমাদের বাঁচাতে পারেন। তিনি বলে দিতে পারবেন কোন পথে গেলে আমাদের মঙ্গল হবে। সৎসঙ্গে শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হচ্ছেন ভগবান আর শ্রীশ্রী দাদা হচ্ছেন বর্তমান আচার্য্যদেব। যিনি তাঁর দৈবী নির্দেশনা দিয়ে সৎসঙ্গকে পরিচালনা করে যাচ্ছেন।
শ্রীশ্রী ঠাকুর বলেছেন, 
পুরুষোত্তম আসেন যখন
                  সকল গুরুর সার্থকতা,
তাকে ধরলে আসে নাকো
                  গুরুত্যাগের ভিন্ন কথা। 

পুরুষোত্তম জন্মসিদ্ধ
                              মন্ত্র প্রতীক তিনি,
সাধক পুরুষ তাকেই বলে
                                  সাধনসিদ্ধ যিনি। 

সকল ধর্মের সেরা ধর্ম
                      পুরুষোত্তমের স্মরণ নেওয়া,
সকল পাপের মোচন তাতে 
                      তাতেই হবে সফল চাওয়া। 

ধর্ম যখনি বিপাকী বাহনে
                        ব্যর্থ অর্থে ধায়,
প্রেরিত তখনি আবিভূত হন
                                পাপী পরিত্রাণ পায়। 

পুরুষোত্তম আসেন যখন
                          কয়জন তারে ধরে,
কয় ভগবান পুরুষোত্তম
                         চলে যাবার পরে। 

শঙ্খ-চক্রী আজও নারায়ণ
ধর্ম-স্থাপনে জনম লন।

অসীম যখন সসীম হয়ে
                                    ধরাতে লন স্থান,
বৃত্তিভেদী টান হলে তোর
                                     দেখবি ভগবান। 

বলিপ্রথাঃ 
হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম একটি কুসংস্কার হলো বলিপ্রথা। হিন্দু দেব-দেবীর পূজায় পশুবলি দেওয়া হয়। তা বিধিমাফিক নয়। 

এই অমানবিক প্রথাগুলো বন্ধ করা হোক।

শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বলেছেন,








 সবশেষে বলতে চাই আমাদের বন্ধ্যা পূজা করা উচিত নয়। আমাদের উচিত ধর্মের বাস্তবদিকটাকে অনুসরন করা। ধর্মপ্রচারক ও পূজারীদেরকেও এই বিষয়টার উপর জোর দিতে হবে। হিন্দুদেরকে আসল ধর্মপথ কি তা বুঝাতে হবে। সঠিক পথ না মানলে আমরা সুন্দরভাবে আগামীর পথে এগিয়ে যাবো কেমন করে?
রচয়িতা

No comments:

Post a Comment