ডিভোর্স বিষয়ে ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের মত ও আদর্শ
ঠাকুর বরাবরই ডিভোর্সের বিরোধী ছিলেন। ডিভোর্সকে একটি চরম পাপ হিসেবে দেখেছেন তিনি। এতে যে সমাজের অমঙ্গল নিহিত রয়েছে সেটাই তিনি বলেছেন বারবার। তিনি বুঝাতে চেয়েছেন এক ফুল দিয়ে দুই দেবতার পূজা হয় না।
বর্তমানে হরহামেশাই ডিভোর্স হচ্ছে। এটা যেন জলভাত হয়ে গেছে। ডিভোর্স হযেছে যেন কিছুই হয় নি। ভালো লাগলো বিয়ে করলাম, ভালো লাগলো না ডিভোর্স দিয়ে দিলাম। কত সহজ হিসাব। সামান্য বিষয়ে একটু মনোমালিন্য হলেই আজকাল কোর্টের মাধ্যমে ডিভোর্স দিয়ে দিচ্ছে। মেয়ে মনে করে আমি কি তোমার চেয়ে কম আবার স্বামী মনে করে আমি কি তোমার চেয়ে কম। কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না। কেউ কারো ভালোবাসা চায় না শরীরের চাহিদাটাই যেন সব। সবকিছু বাদ দিয়ে টাকা আর শরীরের পিছনে পড়ে থাকে। জীবনটা যেন এক হতাশার বাক্স। ডিভোর্সের ক্ষেত্রে পরকীয়া বড় ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া, অত্যাচার, ঝগড়া, উদাসীনতা, পেশাদারিত্ব,অভদ্রতা, অশ্লীলতা, বিকৃত মানসিকতা দায়ী। সিনেমার জগতে দেখতে দেখতে জীবনটাকে সিনেমার মত ভাবতে শুরু করেছি। আসলে বাস্তবতা হলো সম্পূর্ণ ভিন্ন।
বিয়ে দেওয়ার সময় তাই বংশ ,বর্ণ,গোত্র, সম মনমানসিকতা ,শিক্ষা,পেশা,চরিত্র,ব্যবহার এসব দেখা জরুরি। যাতে ভবিষ্যতে কোন ধরনের সমস্যা না হয়।
বিয়েটা ছেলে খেলা নয়। সবকিছু দেখেশুনে বিয়ে করতে হয়। একজনকে দেখে ভালো লাগলো বিয়ে করে ফেললাম তা কিন্তু নয়। বিয়ে করার সময় কি কি বিষয় দেখতে হবে তা সবার জানা উচিত। কয়েকদিন কারো সাথে ডেটিং করে তারপর দ্রুত বিয়ে করে ফেলা ভালো নয়। পরিবারের মত নেয়াটাও জরুরি। বিয়ে করার আগে দেখতে হবে ঐ মেয়ে বা ছেলে বিয়ের আগে কেমন ছিল। কোন বদঅভ্যাস ছিল কিনা। কোন কুসংগে যেত কিনা। বদরাগী ও নেশাগ্রস্থ কিনা। লোভ আর অহংকারের মাত্রা কেমন। সব দেখেশুনে বিয়ে দেয়া অত্যন্ত জরুরি। কারো সাথে একটু কথা বলে ভালো লাগলো তারপর বিয়ে করে ফেললাম আবার ভালো লাগলো না ছেড়ে দিলাম, আলাদা থাকলাম ,এটা মোটেও উচিত নয়। বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কটা খুবই খারাপ।
ডিভোর্সের ফল যে কত খারাপ তা বলার মত নয়। তাতে একটা পরিবার,সমাজ ও দেশের ক্ষতি হয়। এটা কখনো সুফল বয়ে নিয়ে আসতে পারে না। ডিভোর্স তাই বড় ধরণের পাপ ছাড়া কিছু নয়। সন্তান-সন্ততিদের জীবন নষ্ট হয়ে যায়। ধ্বংস হয়ে যায় পরিবারের সুখ,শান্তি।
ডিভোর্সের কোন প্রতিকার নেই। অন্য কোন উপায়ে এর ক্ষতিকে পুষিয়ে নেওয়া যায় না।তাই সামান্য কারনে ডিভোর্স না দিয়ে পারিবারিক জীবন পূরণ করার চেষ্টা করতে হবে। দরকার হলে দুজনে আলোচনা করতে হবে। মতানৈক্যের বিষয়গুলো আলোচনা করা যেতে পারে। দুজনের মধ্যে বিশ্বাস আর ভালোবাসা বাড়াতে হবে।
স্বামী-স্ত্রী যদি ঠাকুরমুখী হন তবে কখনো সংসারে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ঠাকুরের নির্দেশ মেনে জীবন পরিচালনা করা উচিত। তাতে দুজনের মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরী হবে।
বিয়ের আগে দুজনে দুজনের পছন্দ অপছন্দ আলোচনা করে নিলে দুজনের মধ্যে সমস্যা হওয়ার কথা না।
দুজনে ঝগড়া না করে ঠান্ডা মাথায় সমস্যাগুলো আলোচনা করলে দেখবেন সুন্দর সমাধান বের হবে।
স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দুজনকে সম্মান করতে হবে এবং শ্রদ্ধা করতে হবে। কেউ কাউকে ছোট করা চলবে না। পুরুষ তার পুরুষ বৈশিষ্ট্য নিয়ে চলবে নারী তার নারীর বৈশিষ্ট্য নিয়ে চলবে। ফোঁড়া উঠেছে বলে মাথা কেটে ফেলে দিব এমন হতে পারে না।
আসুন ডিভোর্সকে প্রতিরোধ করি। সুস্থ-সুন্দর সমাজ গড়ে তুলি।
ঠাকুর বরাবরই ডিভোর্সের বিরোধী ছিলেন। ডিভোর্সকে একটি চরম পাপ হিসেবে দেখেছেন তিনি। এতে যে সমাজের অমঙ্গল নিহিত রয়েছে সেটাই তিনি বলেছেন বারবার। তিনি বুঝাতে চেয়েছেন এক ফুল দিয়ে দুই দেবতার পূজা হয় না।
বর্তমানে হরহামেশাই ডিভোর্স হচ্ছে। এটা যেন জলভাত হয়ে গেছে। ডিভোর্স হযেছে যেন কিছুই হয় নি। ভালো লাগলো বিয়ে করলাম, ভালো লাগলো না ডিভোর্স দিয়ে দিলাম। কত সহজ হিসাব। সামান্য বিষয়ে একটু মনোমালিন্য হলেই আজকাল কোর্টের মাধ্যমে ডিভোর্স দিয়ে দিচ্ছে। মেয়ে মনে করে আমি কি তোমার চেয়ে কম আবার স্বামী মনে করে আমি কি তোমার চেয়ে কম। কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না। কেউ কারো ভালোবাসা চায় না শরীরের চাহিদাটাই যেন সব। সবকিছু বাদ দিয়ে টাকা আর শরীরের পিছনে পড়ে থাকে। জীবনটা যেন এক হতাশার বাক্স। ডিভোর্সের ক্ষেত্রে পরকীয়া বড় ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া, অত্যাচার, ঝগড়া, উদাসীনতা, পেশাদারিত্ব,অভদ্রতা, অশ্লীলতা, বিকৃত মানসিকতা দায়ী। সিনেমার জগতে দেখতে দেখতে জীবনটাকে সিনেমার মত ভাবতে শুরু করেছি। আসলে বাস্তবতা হলো সম্পূর্ণ ভিন্ন।
বিয়ে দেওয়ার সময় তাই বংশ ,বর্ণ,গোত্র, সম মনমানসিকতা ,শিক্ষা,পেশা,চরিত্র,ব্যবহার এসব দেখা জরুরি। যাতে ভবিষ্যতে কোন ধরনের সমস্যা না হয়।
বিয়েটা ছেলে খেলা নয়। সবকিছু দেখেশুনে বিয়ে করতে হয়। একজনকে দেখে ভালো লাগলো বিয়ে করে ফেললাম তা কিন্তু নয়। বিয়ে করার সময় কি কি বিষয় দেখতে হবে তা সবার জানা উচিত। কয়েকদিন কারো সাথে ডেটিং করে তারপর দ্রুত বিয়ে করে ফেলা ভালো নয়। পরিবারের মত নেয়াটাও জরুরি। বিয়ে করার আগে দেখতে হবে ঐ মেয়ে বা ছেলে বিয়ের আগে কেমন ছিল। কোন বদঅভ্যাস ছিল কিনা। কোন কুসংগে যেত কিনা। বদরাগী ও নেশাগ্রস্থ কিনা। লোভ আর অহংকারের মাত্রা কেমন। সব দেখেশুনে বিয়ে দেয়া অত্যন্ত জরুরি। কারো সাথে একটু কথা বলে ভালো লাগলো তারপর বিয়ে করে ফেললাম আবার ভালো লাগলো না ছেড়ে দিলাম, আলাদা থাকলাম ,এটা মোটেও উচিত নয়। বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কটা খুবই খারাপ।
ডিভোর্সের ফল যে কত খারাপ তা বলার মত নয়। তাতে একটা পরিবার,সমাজ ও দেশের ক্ষতি হয়। এটা কখনো সুফল বয়ে নিয়ে আসতে পারে না। ডিভোর্স তাই বড় ধরণের পাপ ছাড়া কিছু নয়। সন্তান-সন্ততিদের জীবন নষ্ট হয়ে যায়। ধ্বংস হয়ে যায় পরিবারের সুখ,শান্তি।
ডিভোর্সের কোন প্রতিকার নেই। অন্য কোন উপায়ে এর ক্ষতিকে পুষিয়ে নেওয়া যায় না।তাই সামান্য কারনে ডিভোর্স না দিয়ে পারিবারিক জীবন পূরণ করার চেষ্টা করতে হবে। দরকার হলে দুজনে আলোচনা করতে হবে। মতানৈক্যের বিষয়গুলো আলোচনা করা যেতে পারে। দুজনের মধ্যে বিশ্বাস আর ভালোবাসা বাড়াতে হবে।
স্বামী-স্ত্রী যদি ঠাকুরমুখী হন তবে কখনো সংসারে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ঠাকুরের নির্দেশ মেনে জীবন পরিচালনা করা উচিত। তাতে দুজনের মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরী হবে।
বিয়ের আগে দুজনে দুজনের পছন্দ অপছন্দ আলোচনা করে নিলে দুজনের মধ্যে সমস্যা হওয়ার কথা না।
দুজনে ঝগড়া না করে ঠান্ডা মাথায় সমস্যাগুলো আলোচনা করলে দেখবেন সুন্দর সমাধান বের হবে।
স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দুজনকে সম্মান করতে হবে এবং শ্রদ্ধা করতে হবে। কেউ কাউকে ছোট করা চলবে না। পুরুষ তার পুরুষ বৈশিষ্ট্য নিয়ে চলবে নারী তার নারীর বৈশিষ্ট্য নিয়ে চলবে। ফোঁড়া উঠেছে বলে মাথা কেটে ফেলে দিব এমন হতে পারে না।
আসুন ডিভোর্সকে প্রতিরোধ করি। সুস্থ-সুন্দর সমাজ গড়ে তুলি।
No comments:
Post a Comment